প্রতিদিন স্মরণে রাখার জন্য ছয়টি অনন্তকালীন সত্য (Six Eternal Truths to Remember Each Day)

লেখক র‍্যান্ডি অ্যালকর্ন

পশ্চিমের জগতে আধুনিক খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই স্বভাবগত ভাবে এমন সব ধারণা করি এবং কাজ করি যেন অনন্তকাল বলে কিছু নেই – অথবা, আমাদের বর্তমান জীবনে আমরা কি করি না করি, সেটির সঙ্গে অনন্তকালের কোন সম্পর্ক নেই।  

আজকের দিনের প্রবণতা হল, আমাদের অনন্তকালের ভবিষ্যতের বিষয়ে মনোযোগ না দেওয়া (আমাদের জন্য স্বর্গে যে মধুর বাসস্থান আছে সেটি নিয়ে মাথা ঘামানোর কি প্রয়োজন আছে?), কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে, অর্থাৎ যেন এই পৃথিবীই আমাদের চিরস্থায়ী বাসস্থান। তবুও শাস্ত্র বলে, অনন্তকালীন ভবিষ্যৎ যেন, আমরা কি বলি এবং কাজে কি করি তত দূর পর্যন্ত, আমাদের বর্তমান জীবনের উপরে সম্পূর্ণ রূপে আধিপত্য করে এবং আমাদের বর্তমান জীবনের চরিত্র নির্ধারণ করে (যাকোব ২:১২; ২ পিতর ৩:১১-১২)। 

আসুন আমরা আজ – এবং প্রতিটি দিন – “প্রকৃত বিষয়টি” আমাদের নিজেদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া নিশ্চিত করি। স্মরণে রাখার জন্য ছয়টি অনন্তকালীন সত্য এখানে দেওয়া হল :       

১) অনন্তকালের জন্য কেবল মাত্র দুইটি গন্তব্য স্থান আছে স্বর্গ অথবা নরক এবং আমি ও আমার পরিচিত প্রত্যেক ব্যক্তি এই দুইটির মধ্যে কোন একটি স্থানে যাবো।

সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্থ ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়(মথি ৭:১৩-১৪)

স্বর্গ এবং নরক উভয়ই পৃথিবীকে ছুঁয়ে থাকে – এই পৃথিবী হল মাঝখানের একটি জগৎ, যেটি সরাসরি ভাবে স্বর্গ অথবা নরক এই দুইটির কোন একটির দিকে পরিচালিত করবে। পৃথিবীতে জীবনের শ্রেষ্ঠ অংশটি হল স্বর্গের জীবনের এক ঝলক, পৃথিবীতে সব থেকে কষ্টের জীবন হল নরকের জীবনের একটি ঝলক। খ্রীষ্টিয়ানদের ক্ষেত্রে, এই বর্তমান জীবন হল সেটি, যেখানে তারা নরকের সব থেকে কাছাকাছি এসে যাবে। বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে বর্তমান জীবন হল সেটি, যেখানে তারা স্বর্গের সব থেকে কাছাকাছি এসে যাবে। 

এই জীবনে আমাদের সামনে মনোনয়ন করার যে বিষয়গুলি থাকে, সেগুলি অত্যন্ত সুন্দর এবং অত্যন্ত আতঙ্কজনক, উভয়ই। আমাদের যখন জানানো হয়েছে যে আমাদের সম্ভাব্য  গন্তব্য স্থান দুইটি কতটা নিশ্চিত, তখন প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে নরককে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য যে কোন মূল্য দিতে সম্মত থাকা কি উচিত নয়? আর তা সত্ত্বেও, সেই মূল্য ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। “আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ” (১ করিন্থীয় ৬:২০)। যে মূল্য দেওয়া হয়েছে, সেটি ছিল অত্যাধিক – ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্টের ক্ষরিত রক্ত। 

এর অত্যন্ত সুন্দর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখুন: ঈশ্বর নির্ধারণ করলেন যে, আমাদের ব্যতীত তাঁর স্বর্গে বাস করা অপেক্ষা বরং তিনি আমাদের হয়ে নরকে যাবেন। আমরা যেন নরকে না যাই, এটা তিনি এত ভীষণ ভাবে চান যে, ক্রুশের উপরে তিনি ভয়ানক একটি মূল্য চুকালেন, যেন সেই মূল্য আমাদের চুকাতে না হয়।

সকল পথ যে স্বর্গের দিকে পরিচালিত করে, এমন নয়। কেবল মাত্র একটি পথ, যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গের দিকে পরিচালিত করেন। তিনি বলেছেন, “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না” (যোহন ১৪:৬)। অবশিষ্ট সকল পথ পরিচালনা করে নরকের দিকে। নরক যে কতটা বাস্তব সেটি জানলে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে যাবে, এবং সেটি আমাদেরকে আমাদের হাঁটুর উপরে নিয়ে আসবে এবং আমাদেরকে সেই সকল মানুষদের দরজায় নিয়ে যাবে, যারা খ্রীষ্ট ব্যতীত জীবন যাপন করছে।  

২) এই জগৎ (যেমন এটি এখন আছে), সেটি আমার স্থায়ী বাসস্থান নয়, এবং এর সকল কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, কেবল মাত্র সেগুলি টিকে থাকবে, যেগুলি অনন্তকালীন।

কিন্তু প্রভুর দিন চোরের ন্যায় আসিবে; তখন আকাশমণ্ডল হূহূ শব্দ করিয়া উড়িয়া যাইবে, এবং মূল বস্তুসকল পুড়িয়া গিয়া বিলীন হইবে, এবং পৃথিবী ও তাহার মধ্যবর্তী কার্য্যসকল পুড়িয়া যাইবে। এইরূপে যখন এই সমস্তই বিলীন হইবে, তখন পবিত্র আচার ব্যবহার ও ভক্তিতে কিরূপ লোক হওয়া তোমাদের উচিত। ঈশ্বরের সেই দিনের আগমনের অপেক্ষা ও আকাঙ্ক্ষা করিতে করিতে সেই রূপ হওয়া চাই, যে দিনের হেতু আকাশমণ্ডল জ্বলিয়া বিলীন হইবে, এবং মূল বস্তুসকল পুড়িয়া গিয়া গলিয়া যাইবে(২ পিতর ৩:১০-১২)।

আমাদের পাপের দ্বারা এই পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (আদিপুস্তক ৩:১৭)। সুতরাং, আজকের দিনে এই পৃথিবী যেমন আছে (অভিশাপের মধ্যে), সেই ভাবে এটি আমাদের বাসস্থান নয়। এই পৃথিবী যেমন ছিল, এবং এই পৃথিবী যেমন হবে, সেটি হল আমাদের বাসস্থান। এই জীবনে আমরা হলাম তীর্থযাত্রী মাত্র, এই জন্য নয় যে এই পৃথিবী কখনো আমার বাসস্থান হবে, কিন্তু এই জন্য যে আমাদের অনন্তকালীন বাসস্থান এই বর্তমান পৃথিবীতে নেই। এটি ছিল, এবং এটি হবে, কিন্তু এখন যেটি আছে সেটি নয়।

ঈশ্বর বলেন যে বর্তমান পৃথিবী আগুনে ধ্বংস হয়ে যাবে (২ পিতর ৩:১০)। পৌল বললেন যে ঈশ্বরের পবিত্রতার আগুন সেই সকল কিছুকেই পুড়িয়ে ফেলবে যা কিছুই আমরা করেছি, যেগুলি কাঠ, খড়, নাড়ার মতো। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের বলেন যে, এমন কিছু থাকে - আমাদের সোনা, রূপা, এবং মূল্যবান পাথরের কাজগুলি, যেগুলি সেই আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং সেগুলি নূতন স্বর্গ ও নূতন পৃথিবীতে যাবে (১ করিন্থীয় ৩:১২)। 

কি কি অনন্তকাল স্থায়ী হবে? আপনার গাড়ি, ঘর, ডিগ্রী, পদক, অথবা ব্যবসা অনন্তকাল স্থায়ী হবে না। যেগুলি অনন্তকাল স্থায়ী হবে, সেগুলি হল অসহায় মানুষদের প্রতি আমাদের করা প্রতিটি পরিচর্যা কাজ, ক্ষুধার্ত মানুষদের আহার দেওয়ার জন্য আমাদের ব্যয় করা প্রতিটি ডলার, পিপাসিত মানুষদের জন্য আমাদের দেওয়া প্রতি পেয়ালা শীতল জল, ঈশ্বরের কাজের জন্য আমাদের প্রতিটি বিনিয়োগ, পীড়িত মানুষদের জন্য আমাদের প্রতিটি প্রার্থনা, সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমাদের প্রতিটি প্রয়াস, এবং শিশুদের ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া ও তাদের ডাইপার বদলে দেওয়া সহ – মূল্যবান শিশুদের প্রতি আমাদের প্রতিটি যত্ন নেওয়া। বাইবেল বলে যে, এই জীবনে আমরা যে বীজ বপন করবো, অনন্তকালে আমরা সেই শস্য ছেদন করবো (গালাতীয় ৬:৭-৮)।

৩) এই জীবনে আমার মনোনয়নগুলি এবং আমার কাজগুলির একটি সরাসরি প্রভাব থাকে আগত জগৎ এবং জীবনের উপরে।

দেখ, আমি শীঘ্র আসিতেছি, এবং আমার দাতব্য পুরস্কার আমার সহবর্তী, যাহার যেমন কার্য্য, তাহাকে তেমন ফল দিব (প্রকাশিত বাক্য ২২:১২)।         

এই জীবনে আমরা কি করি, সেটির অনন্তকালীন গুরুত্ব থাকে। আপনি এবং আমি, একটি আহত প্রাণকে আরোগ্য করার উদ্দেশ্যে প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরের হাত আহত মানুষের দিকে নিয়ে যাওয়ার, নরক থেকে একজন মানুষকে রক্ষা করতে তার কাছে খ্রীষ্টের কথা বলার, অসুস্থ মানুষদের সেবা করার, অনাহারে থাকা কোন ব্যক্তিকে একটি আহার দেওয়ার, মৃত্যুমুখী ব্যক্তিকে স্বান্তনা দেওয়ার, জন্ম হয় নি এমন এক শিশুর প্রাণ রক্ষা করার, শাস্ত্র অনুবাদ করার, যে সকল মানুষদের দলের কাছে এখনও পৌঁছানো যায় নি তাদের কাছে সুসমাচার নিয়ে পৌঁছানোর, ঈশ্বরের রাজ্য বিস্তার করার, অন্যদের জন্য আমাদের গৃহ খুলে দেওয়ার, অথবা দরিদ্র এবং অভাবী মানুষদের সঙ্গে আমাদের খাদ্য ও বস্ত্র ভাগ করে নেওয়ার, কখনো আর একটি সুযোগ পাবো না।

আজকের দিনটিকে আমরা যখন দীর্ঘ আগামীকালের পরিপ্রেক্ষিতে দেখি, তখন আমাদের ছোট ছোট মনোনয়নগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। আজ আমি আমার বাইবেল পড়ি কি না, প্রার্থনা করি কি না, গির্জায় যাই কি না, আমার বিশ্বাস সম্পর্কে অন্যদের জানাই কি না, এবং আমার অর্থ দিই কি না – আমার মাংসের  দ্বারা নয়, কিন্তু ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার অনুগ্রহের দ্বারা শক্তিশালী হয়ে যাওয়া আমার এই সকল কাজগুলির অনন্তকালীন পরিণাম থাকে, অন্যান্য প্রাণের জন্য নয়, কিন্তু আমার নিজের প্রাণের জন্য।

৪) আমার জীবন ঈশ্বরের দ্বারা পরিক্ষিত হয়, আমার জীবনের যে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ শুনানি, এবং একমাত্র  মূল্যায়ন চরম গুরুত্বপূর্ণ হবে, সেটি হল ঈশ্বরের।

সুতরাং আমাদের প্রত্যেক জনকে ঈশ্বরের কাছে আপন আপন নিকাশ দিতে হইবে। (রোমীয় ১৪:১২)।

আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি কি জীবন যাপন করছেন এই সংস্কৃতির অনুমোদনের জন্য, অথবা যীশুর অনুমোদনের জন্য। তারপর আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “অবশেষে আমি কার বিচার আসনের সামনে দাঁড়াবো?” আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হবে একজনের কাছে শুনানির জন্য। তাঁর অনুমোদনটাই হল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য যদি আমাদের বিষয়ে অন্যদের কাছ থেকে “উত্তম” শোনা হয়, তাহলে আমাদের বিষয়ে ঈশ্বরের কাছে থেকে “উত্তম” শোনার জন্য আমাদের যা করা প্রয়োজন, সেটি আমরা করবো না। 

আমাদের নিজেদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত যে খ্রীষ্টের জন্য মূর্খদের বিষয়ে বাইবেল কি বলে ( ১ করিন্থীয় ১\:১৮-৩১; ৪: ৮-১৩)।   প্রশ্ন এই নয় যে, আমাদের মূর্খ দেখাবে কি না – আমাদের মূর্খ দেখানো নিশ্চিত – কিন্তু বিষয় হল কখন এবং কার কাছে আমাদের মূর্খ দেখাবে। একজনের কাছে অনন্তকালের জন্য মূর্খ দেখানোর পরিবর্তে, এখন খ্রীষ্টিয়ান সহ অন্যান্য মানুষদের কাছে মূর্খ দেখানো অধিক শ্রেয় হবে।   

৫) ঈশ্বর হলেন সার্বভৌম, এবং আমি বিশ্বাস করতে পারি যে, আমার জীবনে সকল কিছু যেন মঙ্গলের জন্য এক সঙ্গে কাজ করে, তার জন্য সব থেকে কঠিন বিষয়গুলি সহ -  তিনি সকল বিষয়ে কাজ করে চলেছেন।

আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য্য করিতেছে(রোমীয় ৮:২৮)।

যাতনায় এবং মন্দ বিষয়ে আর্তনাদ করতে থাকা এই জগতের মধ্যে ঈশ্বরের প্রধান বিষয় হল তাঁর সন্তানদের খ্রীষ্টের অনুরূপ করা। এবং আমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের ন্যায় বৈশিষ্ট্য গড়ে তোলার জন্য ঈশ্বর কাজ করেন আমাদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। আমরা আশ্বস্ত হতে পারি যে, আমাদের জীবনে যা কিছু কঠিন বিষয়ের আসা তিনি অনুমোদন করেছেন, সেগুলি হয় পিতার দ্বারা তাঁর প্রজ্ঞা এবং প্রেমের আঙ্গুলের দ্বারা বেছে নেওয়া।

আমরা কি খ্রীষ্টের সেই সকল অনুগামী ব্যক্তি, যারা রোমীয় ৮:২৮ পদের সত্যকে বিশ্বাস করে, সেটির হয়তো সব থেকে বড় পরীক্ষা হল এই যে, আমাদের প্রতি ঘটে যাওয়া সব থেকে মন্দ বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করা, এবং তারপর জিজ্ঞাসা করা যে আমরা কি বিশ্বাস করি যে, অবশেষে ঈশ্বর কোন না কোন ভাবে এই সকল বিষয়কে আমাদের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করবেন। বাইবেল খুব জোর দিয়ে বলেছে যে ঈশ্বর তাই করবেন। আমাদের এমন ভাবার কোন কারণ নেই যে, ঈশ্বরের করা অন্য কোন প্রতিজ্ঞা অপেক্ষা তাঁর এই প্রতিজ্ঞার বিষয়ে তাঁকে একটুও কম বিশ্বাস করা যায়। বিশ্বাসের দ্বারা আসুন আজ আমরা ঈশ্বরের উপরে ভরসা করি যে অনন্তকালে আমরা পিছন ফিরে দেখবো যে প্রথম থেকেই কিভাবে রোমীয় ৮:২৮ পদ ছিল চরম সত্য!

৬) আমাদের চরম বাসস্থান হবে নূতন পৃথিবী, যেখানে এক পুনরুত্থিত সত্ত্বা রূপে একটি পুনরুত্থিত মানব সমাজে আমি ঈশ্বরকে দেখবো এবং উপভোগ করবো আর তাঁর পরিচর্যা করবো।

কিন্তু তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্মিকতা বসতি করে (২ পিতর ৩:১৩)।    

পুনরুত্থিত জগতে পুনরুত্থিত খ্রীষ্ট এবং তাঁর পুনরুত্থিত মানুষদের সঙ্গে পুনরুত্থিত জীবন যাপন করাই কি আপনার দৈনন্দিন আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা? এটি কি সেই সুসমাচারের একটি অংশ, যেটি আপনি অন্যদের কাছে বলেছেন? পৌল বললেন যে, মৃতদের পুনরুত্থান হল সেই প্রত্যাশা, যার দ্বারা আমরা পরিত্রাণ লাভ করেছি। এটি হবে ঈশ্বরের পরিত্রাণের কাজের গৌরবময় চরম মুহূর্ত, যেটি শুরু হয়েছিল আমাদের পুনর্জন্মের সময়। এটি যে কোন এবং সকল পাপের চরম সমাপ্তিকে চিহ্নিত করবে, যে পাপগুলি ঈশ্বর থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে। পুনরুত্থান আমাদের স্বাধীন করে দেবে, পাপ এবং পাপের সকল পরিণাম থেকে আমাদের মুক্ত করতে, ঈশ্বরের সঙ্গে জীবন যাপন করার জন্য, তাঁর দিকে তাকানোর জন্য, এবং চিরকালের জন্য তাঁর অবিরত সহভাগিতা উপভোগ করার জন্য, যেখানে আমাদের এবং ঈশ্বরের মধ্যে আর কোন কিছু আসার আর কোন ভয় থাকবে না।    

 

 

Six Eternal Truths to Remember Each Day

A startling thing has happened among modern Christians in the western world. Many of us habitually think and act as if there is no eternity—or, as if what we do in this present life has no bearing on eternity. 

The trend today is to focus not on our eternal future (who cares about the “sweet bye and bye”?) but our present circumstances, as if this world were our home. Yet Scripture states the reality of our eternal future should dominate and determine the character of our present life, right down to the words we speak and the actions we take (James 2:122 Peter 3:11–12).

Let’s be sure to remind ourselves today—and every day—of “the real thing.” Here are six eternal truths to remember:

1. There are only two eternal destinations—Heaven or Hell—and I and every person I know will go to one or the other.

Enter through the narrow gate. For wide is the gate and broad is the road that leads to destruction, and many enter through it.  But small is the gate and narrow the road that leads to life, and only a few find it (Matthew 7:1314).

Both Heaven and Hell touch Earth—an in-between world leading directly into one or the other. The best of life on Earth is a glimpse of Heaven; the worst of life is a glimpse of Hell. For Christians, this present life is the closest they will come to Hell. For unbelievers, it is the closest they will come to Heaven.

The reality of the choice that lies before us in this life is both wonderful and awful. Given the certainty of our two possible destinations, shouldn’t every person be willing to pay any price to avoid Hell and go to Heaven? And yet, the price has already been paid. “You were bought at a price” (1 Corinthians 6:20). The price paid was exorbitant—the shed blood of God’s Son, Jesus Christ.

Consider the wonder of it: God determined that He would rather go to Hell on our behalf than live in Heaven without us. He so much wants us not to go to Hell that He paid a horrible price on the cross so that we wouldn’t have to.

All roads do not lead to Heaven. Only one does: Jesus Christ. He said, “No one comes to the Father except through me” (John 14:6). All other roads lead to Hell. The reality of Hell should break our hearts and take us to our knees and to the doors of those without Christ. 

2. This world (as it is now) is not my home and everything in it will burn, leaving behind only what’s eternal.

The heavens will disappear with a roar; the elements will be destroyed by fire, and the earth and everything done in it will be laid bare. Since everything will be destroyed in this way, what kind of people ought you to be? You ought to live holy and godly lives as you look forward to the day of God and speed its coming (2 Peter 3:1012).

Earth has been damaged by our sin (Genesis 3:17). Therefore, the earth as it is now (under the Curse) is not our home. The world as it was, and as it will be, is our home. We are pilgrims in this life, not because our home will never be on Earth, but because our eternal home is not currently on Earth. It was and it will be, but it’s not now.

God says this present earth will be consumed by fire (2 Peter 3:10). Paul says the fire of God’s holiness will consume whatever we’ve done that amounts to wood, hay, and straw. But he tells us there’s something that will survive the fire and go right into the new heavens and new earth—works of gold, silver, and precious stones (1 Corinthians 3:12).

What will last for eternity? Not your car, house, degrees, trophies, or business. What will last for eternity is every service to the needy, every dollar donated to feed the hungry, every cup of cold water given to the thirsty, every investment in missions, every prayer for the needy, every effort spent in evangelism, and every moment caring for precious children—including rocking them to sleep and changing their diapers. The Bible says we’ll reap in eternity what we’ve planted in this life (Galatians 6:7–8).

3. My choices and actions in this life have a direct influence on the world and the life to come.

Behold, I am coming soon, bringing my recompense with me, to repay everyone for what he has done (Revelation 22:12).

What we do in this life is of eternal importance. You and I will never have another chance to move the hand of God through prayer to heal a hurting soul, share Christ with one who can be saved from hell, care for the sick, serve a meal to the starving, comfort the dying, rescue the unborn, translate the Scriptures, bring the gospel to an unreached people group, further God’s kingdom, open our homes, or share our clothes and food with the poor and needy.

When we view today in light of the long tomorrow, the little choices become tremendously important. Whether I read my Bible today, pray, go to church, share my faith, and give my money—actions graciously empowered not by my flesh but by His Spirit—is of eternal consequence, not only for other souls, but for mine.

4. My life is being examined by God, the Audience of One, and the only appraisal of my life that will ultimately matter is His.

So then each of us will give an account of himself to God (Romans 14:12).

Ask yourself whether you are living for the approval of this culture, or for the approval of Jesus. Then ask yourself, “In the end whose judgment seat will I stand before?” We are to live out our lives before the Audience of One. His approval is the one that matters. If our goal is to hear others say, “Well done,” we won’t do what we need to do to hear Him say it.

We should remind ourselves of what the Bible says about being fools for Christ (1 Corinthians 1:18–314:8-13). The question is not whether we will be seen as fools—that part is certain—but when and to whom we will be seen as fools. Better to be seen as fools now in the eyes of other people—including other Christians—than to be seen as fools forever in the eyes of the Audience of One.  

5. God is sovereign, and I can trust that He is working all things—including the most difficult things—in my life together for good.

And we know that for those who love God all things work together for good, for those who are called according to his purpose (Romans 8:28).

In the midst of a world that groans under suffering and evil, God’s main concern is conforming His children to the image of Christ. And He works through the challenging circumstances of our lives to help develop that Christlikeness in us. We can be assured that whatever difficulty He has allowed in our lives has been Father-filtered, through His fingers of wisdom and love.

Perhaps the greatest test of whether we who are Christ’s follow­ers believe the truth of Romans 8:28 is to identify the very worst things that have ever happened to us, then to ask whether we believe God will in the end somehow use those things for our good. The Bible is emphatic that He will. We have no reason to think He’ll be any less trustworthy concerning this than with any other promise He has made. By faith let’s trust Him today that in eternity we’ll look back and see, in retrospect, how Romans 8:28 was absolutely true!

6. My ultimate home will be the New Earth, where I will see and enjoy God and serve Him as a resurrected being in a resurrected human society.

But according to his promise we are waiting for new heavens and a new earth in which righteousness dwells (2 Peter 3:13).

Is resurrected living in a resurrected world with the resurrected Christ and his resurrected people your daily longing and hope? Is it part of the gospel you share with others? Paul says that the resurrection of the dead is the hope in which we were saved. It will be the glorious climax of God’s saving work that began at our regeneration. It will mark the final end of any and all sin that separates us from God. In liberating us from sin and all its consequences, the resurrection will free us to live with God, gaze on Him, and enjoy His uninterrupted fellowship forever, with no threat that anything will ever again come between us and Him.

 

Photo: Unsplash

Randy Alcorn (@randyalcorn) is the author of over sixty books and the founder and director of Eternal Perspective Ministries